শিরোনাম :

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে জগন্নাথপুর পৌরসভার অলিগলি




আমিনুর রহমান জিলু

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫জন, কাউন্সিলর পদে ৩৯জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ৯ জন সহ মোট ৫৩ জন প্রার্থী অবিরাম গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তাঁদের কর্মী সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নিত্য নতুন স্ট্যাটাস দিয়ে প্রচার প্রচারণা করছেন। জনমনে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন আগামী দিনের পৌরবাসীর কান্ডারী? 

আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকী আসন্ন সুনামগঞ্জের  

প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর পৌরসভার নির্বাচন চলতি মাসের ১৬ ই জানুয়ারি । নির্বাচনকে ঘিরে জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। অত্র এলাকার নামী-দামী হোটেল-রেস্তোরা ও টং দোকান গুলোতে চায়ের আড্ডা ও খাবার টেবিলে একে অন্যের সাথে মত বিনিময় করার পাশাপাশি পৌর নির্বাচনের নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে দোয়া ভালোবাসা ও ভোট প্রার্থনা করছেন। 

পোর শহরের অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গোটা পৌরসভা, সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই তারা পোষ্টার ঝুলিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কারো নামে নির্বাচনী বিধি-নিষেদ ভঙ্গ করার কোনো  অভিযোগ শোনা যায়নি।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনের শুরু থেকে হাট-বাজারে, মাঠে-ঘাটে ও বাড়ী বাড়ী গিয়ে গণ সংযোগ করে নিজেদের লিফলেট বিতরণ  করে পৌরবাসীর সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আশাবাদ ব্যাক্ত করে ভোটারদের দোয়া ভালোবাসা ও ভোট আদায়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, নির্বাচন এলেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের প্রয়োজন পরে,  নির্বাচন চলেগেলে আমাদের খোজ খবর কেউ নেয়না।  এখন আমরা প্রার্থীদের পরম আত্মীয়। রাত জেগেও প্রার্থীদের সাথে কথা বলতে পারছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, শুনেছি মেশিনের মাধ্যমে ভোট হবে, কিভাবে ভোট নেওয়া হবে জানিনা, তবু্ও ১৬ তারিখ ভোট দিতে যাবো, বাদবাকি আল্লাহ ভরসা। আমরা চাই এমন ব্যাক্তিরাই নির্বাচিত হোন যিনি সুন্দর পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গঠনের সুন্দর মনের অধিকারী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বলিষ্ঠ কাণ্ডারী হবেন।

এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের ভোট গ্রহনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী ১৪ জানুয়ারী ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়া হবে।

সুনামগঞ্জে জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে 

পৌরসভায় বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ভােটারদের ইভিএমে ভােট দিতে আগ্রহী করে তােলার চেষ্টা

করা হবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আগামী  ১৬  জানুয়ারি ভােট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল নির্বাচনী কাজ সম্পন্ন করা হবে। 

ভােটার আসার পর কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে ভােটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা

স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ ও ভােটার নম্বর যাচাই করে ভােটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। এ সময় ভােটারের।

ছবি ও তথ্য একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সকল প্রার্থীর এজেন্টরা ভােটারের পরিচয় দেখতে পারেন।



Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents