শিরোনাম :

জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের কাজ শেষ না হতেই ভাঙন: ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা



আমিনুল হক সিপন::

জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের কাজ পুরোপুরি শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবারও  ধসে পড়েছে আরেকটি স্থান।

জগন্নাথপুর- সিলেট সড়ক টেকসই করার জন্য উপজেলাবাসীর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের । ফলশ্রুতিতে স্থানীয় সংসদ  সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দে অবহেলিত এই সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ না হতেই ভাঙন ধরায় জগন্নাথপুরবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই।
রোববার (১৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার অন্তর্গত লুদরপুর এলাকার ব্রিজ মোড়ের আরেকটি স্থান ধসে গেছে। এর আগে বাড়ী জগন্নাথপুর এলাকার নয়া মসজিদের পাশে ভাঙন  দেখা দিলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশিত হয়।  তখন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের ছিল দায়সারা বক্তব্য।  তারা তাও জানান,কাজ নিয়মতি তদারকি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুরবাসীর গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা জগন্নাথপুর-সিলেট সড়ক।  এই সড়কটি বিভাগীয় শহর সিলেট,রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু দীর্ঘদিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি’র ব্যাপক অনিয়মের কারণে বছরের পর বছর জগন্নাথপুরবাসীর সীমাহীন যন্ত্রনা এই সড়ক। মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে রশিদপুর অভিমুখে সিলেট শহরে যাতায়াত করতে ঘন্টার পর ঘন্টা  সময় লাগে। ভাঙাচোড়া এই সড়কে দুর্ঘটনা ও ঘটে নিত্যনৈমিত্তিক ।
জগন্নাথপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি’র প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় এই সড়কে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে ধারণা ছিল- এবার হয়তো এই সড়কে ভোগান্তির শেষ হবে।  সড়কটি সংস্কারে অনিয়ম ব্যাপারে পরিকল্পনা মন্ত্রীরও কঠোর নির্দেশনা ছিল।  কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ অনিয়ম,গাফলা,  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও তদারকির অভাবে কাজ শেষ না হতেই আবারও ভাঙন দেখা দেয়। এতে আবারও  ক্ষুব্ধ জগন্নাথপুরবাসী। এই নিয়ে ফেইসবুকেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে
সড়কের পুরনো ইটের খোয়া, নিম্নমানের সামগ্রী সড়কের পাশে বেলে মাটি দেওয়ায় পূর্ব থেকেই অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর ফলে খানাখন্দ ও ভাঙন দেখা দেওয়ায় জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে লিখিতভাবে অনিয়মের বিষয়টি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সড়কের জগন্নাথপুর উপজেলা অংশের ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২৫ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হলে মাদারীপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হামীম সালেহ (জেভি) অংশ নেয়। এসময় দ্রুত সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করতে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত দরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সড়কে সংস্কার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান বলেন,নিম্মমানের সামগ্রী ও টেকসই কাজ না হওয়াতে সড়কটির একটি অংশ ধসে গেছে। তবে এই বিষয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি সংশ্লিষ্টদের সাথে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, এই মুহূর্তে আমি অত্র এলাকায় নেই। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে বলা হয়েছে- ভাঙ্গা স্থান সংস্কার করার জন্য।


Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents