মাইনুল হক সুনামগঞ্জঃ
সদরের সৈয়দপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ ধ্বসে পড়ায় এলাকাবাসী আতংকিত। তাই এই বর্ষায় চলাচল নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা। অনেক বছর আগে এই বেড়িবাঁধের কাজ করলেও আস্তে আস্তে ধ্বসে পড়ছে বাধ। শুধু বাধঁ নয় ওই বাধঁ ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাবে কয়েকটি গ্রামও। গত দুবছর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নিচু জমিতে অজতা বাধঁ দিলেও সংস্কার করা হয়নি এই বাধঁ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর অংশের প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক ও বাধঁ চলে যাচ্ছে সুরমা(ধোপাজান)নদীর গর্ভে। শুধু সড়কই নয়! সুরমা(ধোপাজান) নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাবে পাচঁটি গ্রামের হাজারো পরিবারের বাড়িঘর। হুমকির মুখে রয়েছে আরও তিনটি গ্রাম। ভেঙ্গে যাচ্ছে জেলা শহর থেকে চলাচলের অন্যতম সড়কটি। স্থানীয়রা বলছেন, এখনি ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যাবে আরও কয়েক হাজার পরিবারের ভিটেমাটি, মাথাগোজার ঠাঁই। সদর উপজেলার সৈয়দপুর,সাহেব নগর,বালাকান্দা, বালাকান্দা বাজার, মুসলিম পুর, হুরুয়ারকান্দা, জব্বার পুর,বালুচরসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবারের বাড়িঘর চলে যাবে নদীগর্ভে। হুমকির মুখে রয়েছে বৃহত্তর সৈয়দপুর গ্রামের মানুষের বসতবাড়ি ও আধা কিলোমিটার অংশ। নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কে রয়েছে নদীর পাড়ের স্থানীয় লোকজন।
সৈয়দপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মুমিন মিয়া জানান, কয়েক বছর ধরে ধোপাজান নদীর ভাঙ্গনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নদীর তীরে বেড়িবাঁধ পুনরায় না করলে আমাদের এলাকার চলাচলের রাস্তা ও কয়েক হাজার বাড়িঘর হুমকিতে পড়বে।
সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, সৈয়দপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ পুনরায় নির্মাণ অথবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে কয়েকটি গ্রামের বিরাট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে। চোখের সামনে বাড়িঘরসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
সৈয়দপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ ফজর আলী বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে সুরমা(ধোপাজান)নদীতে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছিল। নদী ভাঙ্গনের ফলে সমতল ভুমি ভেঙে এখন বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন ধরেছে। এই বেড়িবাঁধ ভাঙ্গলে আমাদের গ্রামের ফসলের জমি ও বসতবাড়ি নদীর মাঝে বিলীন হয়ে যাবে। আমাদের গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা হিসেবে আমরা এই বেড়িবাঁধ ব্যবহার করে থাকি। এখন যদি এই বেড়িবাঁধ টোকো ভেঙ্গে যায় তাহলে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকবেনা। তাই সুনামগঞ্জ জেলার সকল উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে আকুল আবেদন আমাদের এই বেড়িবাঁধ ও রাস্তার উপর সু-নজর দিয়ে গ্রামবাসিকে রক্ষা করুন।
Commentbox