আমিনুর রহমান জিলু
জগন্নাথপুর উপজেলা রানীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘরের তালিকায় তশিলদার হাফিজ উদ্দিন বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যাদের জায়গা আছে তাদের কে ঘরের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যাদের জায়গায় নেই ঘর তাদেরকে বঞ্চিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামে প্রধানমন্ত্রী উপহার ৬০ ঘর নির্মান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি ঘরে লোকদের কাগজ পএ যাচাই বাচাই করা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন কে, তিনি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একই পরিবারের ২/ জন,সদস্য লক্ষি রানী বিশ্বাস, তার ছেলে মদন বিশ্বাস কে সরকারি ঘর পাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ধীরা বিশ্বাসের নামে জায়গা আছে, থাকে তশিলদার হাফিজ উদ্দিন টাকার বিনিময়ে, তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নে হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন আবেদন করেন,, বাজার গুড়ে দেখা গেছে এক মুড়ি চানাচুর বিক্রিতা, তার বাড়ি ঘর নেই, তার নাও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে তাদের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে।বলে এমন অভিযোগ করেছে হতদরিদ্র পরিবারের ভুক্তভোগী রিপন চন্দ্র শীল ও ধীরাজ বিশ্বাস সহ অনেকে। রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি তশিলদার হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক,ও নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা যাদের জায়গা নেই বাড়ি নেই তাদেরকে ঘর নির্মান করে দেওয়ার হবে।এটাকে তশিলদার বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অনিয়ম করেছেন বলে এলাকার লোক জনের অভিযোগ।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডঃ ছরুল ইসলাম বলেন প্রধানমন্ত্রী উপহার ঘর নিয়ে তশিলদার হাফিজ উদ্দিন অনিয়মের করেছেন।
তহশিল বিরুদ্ধে এলাকার বাসীর আরও অভিযোগ তিনি প্রতিদিন অফিসে রানীগঞ্জের বখাটেদের রুমে বসিয়ে তাদের মাধ্যমে আড্ডা জুয়ার আসর বসান।
রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সামাদ মিয়া জানান, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন তশিলদার হাফিজ উদ্দিন অফিসে রানীগঞ্জের বখাটেদের রুমে বসিয়ে তাদের মাধ্যমে আড্ডা মারেন তহশিলদার।এখানে আর অনেক কিছু হয়।বাগমনা গ্রামের দুলন মিয়া জানান তশিলদার হাফিজ উদ্দিন এলাকায় গিয়ে যাচাই বাছাই করেন নি।
তিনি দাদালদের সহ যোগীতায় অনিয়ম করেছেন।
আবেদনকারী রিপন চন্দ্র শীল বলেন-আমরা হতদরিদ্র পরিবারের লোক, গুচ্ছ গ্রামে ঘরের জন্য ১৮ / ৩ ২০২১ সালে আবেদন করি। আবেদন করার পর যাচাই বাচাই করা হয়েছে,তশিলদার আমার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। আনন্দ বিশ্বাসের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাঁর নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। আমি সুষ্ঠু তদন্ত মাধ্যমে বিচার চাই। ধীরাজ বিশ্বাস বলেন- আমরা হতদরিদ্র লোক। আমরা টাকা না দিতে পারায় আমাদে নাম বাদ দিয়েছে তশিলদার হাফিজ উদ্দিন। আমরা হতদরিদ্র পরিবারের লোক প্রধানমন্ত্রী কাছে বিচার চাই। রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিনের সাথে মোট ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যাচাই বাচাই করে তালিকা করেছেন। অভিযোগের বিষয় টি আমি দেখছি বলে ফোন কেটে দেন। রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি উপ সহকারী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন- আমাদের কাছে কিছু নেই! তালিকা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যান করেছেন। রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন- আমরা ভুমিহীনদের নামের তালিকা তশিলদারকে দিয়েছি।সেগুলো যাচাই বাছাই করেন তশিলদার, এখন শুনেছি সঠিক ভুমিহীনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি তিনি। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে। যদি কেউ টাকা নিয়ে ঘর দিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের জায়গা আছে তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
Commentbox