স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলমান জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে বেশ অনেক প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ের আছেন। তাঁদের ব্যপারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনু্যায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দল থেকে বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ৪র্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে মনোনয়ন বোর্ড গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে উপজেলার কলকলিয়া নৌকা পেয়েছেন সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলাল হোসেন রানা, পাটলী ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আঙ্গুর মিয়া, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ছদরুল ইসলাম, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসান, আশারকান্দি ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল সত্তার ও পাইলগাঁও ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সুন্দর উদ্দিন।
এঁরা দলীয় মনোনয়ন পেলেও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কার হন উপজেলার ২নং পাটলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক, প্রবাসী আব্দুল হাই আজাদ, ৫নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরশ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল, প্রবাসী আব্দুল মোমিন, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা, প্রবাসী ছালিক মিয়া, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে প্রবাসী মকসুদ মিয়া কোরেশী, প্রবাসী আজহারুল কামালী, আশারকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব খান, প্রবাসী জমিরুল হক।
দলীয় প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন করা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে গত ৭ ডিসেম্বর প্রথম সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সভায় কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ায় গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কার্যকরী কমিটির মুলতবি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের পরিচালনায় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম মশাহিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, সুজিত রায়, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, প্রচার সম্পাদক হাজী আব্দুল জব্বার, সহ-প্রচার সম্পাদক ফিরোজ আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জালাল হোসেন কদ্দুস কামালী, কৃষি বিষয়ক মতিউর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ শেফুল আমীন, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর, দপ্তর সম্পাদক সাদেকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাসুম আহমদ, সদস্য তৌরিছ মাষ্টার, শহিদুর রহমান লেচু, সুলতান মিয়া মেম্বার, আফু মিয়া প্রমুখ।
বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দলের গঠনতন্ত্রর ৪৭, (১১) ধারা মোতাবেক কার্যকরী কমিটির সভায় দলের সকল বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারে সম্মতি হয় এবং জেলা শাখার পরামর্শ ক্রমে পরবর্তীতে বিদ্রোহীদের লিখিত ভাবে অবহিত করণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
শিগগিরই বহিষ্কৃতদের নামে চিঠি ইস্যু করা হবে বলেও জানান তিনি।
Commentbox