শিরোনাম :

কালীগঞ্জ সরকারী কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে খাতা চুরির মামলা



শেখ শোভন আহমেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মুল খাতা ও লুজ সীট চুরি করে বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার কালীগঞ্জ আমলী আদালতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মামলাটি করেন, যার পিটিশন মামলা নং ৫৩/২২। মামলার আসামী করা হয়েছে সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সরকারী অধ্যাপক ফয়লা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম মিল্টন ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মৃত ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মন্ডল। মামলাটি তদন্ত করে ঝিনাইদহ সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আগামী ২১ জুন প্রতিবেদনের দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট জাকারিয়া মিলন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার সন্ধ্যায় জানান, আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার বোর্ড পরীক্ষার পর অবশিষ্ট মুল খাতা ও লুজ সীট চুরি করে বিক্রি করে দেন। এই খাতা ছাড়াও কয়েক বস্তা বই কলেজের দুই কর্মচারির সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে ভ্যানযোগে বহন করে নিয়ে যান। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয় করোনা মহামারীর কারণে পরীক্ষা না হওয়া শিক্ষা বর্ষের খাতা কলেজের গোডাউনে রক্ষিত ছিল। সেগুলো রেজিষ্ট্রার ভুক্ত না করে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের সহায়তায় প্রধান আসামী রকিবুল ইসলাম মিল্টন বিক্রি করে দেন। খাতা চুরির ঘটনা জানার পরও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ বিষয়ে অত্র দৈনিকে একটি অনুসন্ধানমুলক তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবোর্ড কলেজ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে জিডি করার পরামর্শ দেন। বোর্ডের পরামর্শে কালীগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে থানা জিডি গ্রহন করেনি। ফলে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হন। মামলায় কলেজে চাকরীরত ৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাক্ষি করা হয়েছে। কলেজের অফিস সহায়ক ও মামলার সাক্ষি শরিফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বেচে যাওয়া খাতার সঙ্গে বোর্ডের বইগুলো মিল্টন স্যার নিজের বাসায় নিয়ে যান। একই কথা বলেন অফিস সহায়ক ও আরেক সাক্ষি আমির হোসেন। মামলার আরজিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সরকারী অধ্যাপক রকিবুল ইসলাম মিল্টন বহু কেলেংকারীর হোতা। কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মার্কসীটের ফটোকপি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন ও চাঁদাবাজীর সঙ্গে জড়িত। এসাইনমেন্ট জমা দিতেও টাকা নেন তিনি। কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মামলার বিষয়ে জানান, খাতা গায়েবের বিষয়টি আমি পত্রিকা মারফত ও কারিগরী শিক্ষা বোর্ড থেকে অবগত হয়ে মামলা করি। তিনি বলেন খাতা চুরির বিষয়টি সত্য।

Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents