শিরোনাম :

সেবা প্রদানে নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগ: জগন্নাথপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে




রিপোর্টঃ জহিরুল ইসলাম লাল


সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে নাগরিকদের সেবা প্রদানে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে । সেবা নিতে আসা নাগরিকরা জন্ম নিবন্ধন সহ বিভিন্ন কাগজপত্র সগ্রহ করতে এসে প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। 

বিশেষ করে অদক্ষ কর্মচারী দিয়ে পৌর কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে কাজ করানো হচ্ছে, ফলে কাগজি জটিলতা দূর করতে এসে উল্টো জটিল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পৌরসভার সাধারণ নাগরিকদের। 

তবে সার্ভারের নানা সমস্যার কথা বলে অভিযোগ উড়িয়ে দেন দায়িত্বরত কর্মচারীরা। 

এদিকে কার্যালয়ে নতুন কর্মরত কিছু কর্মচারীর যোগ্যতা ও কিভাবে নিয়োগ পেল, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

অভিযোগ রয়েছে, জন্ম নিবন্ধনে নিজের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম কিংবা জন্ম তারিখে ভুল রয়েছে।

এসব ভুল সংশোধন করতে গিয়ে হয়রাণির পাশাপাশি নানা অজুহাতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। 

পৌর কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা পৌর নাগরিক ও শিক্ষার্থীরা নেটওয়ার্কের অজুহাতে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

অভিভাবকরা বলেন, স্কুল পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন থাকা সত্বেও সময়মত ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের কাগজপত্র স্কুলে জমা দিতে না পারায় সরকার প্রদত্ত উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। 

যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেন, বিদেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, নাগরিকত্ব সাটিফিকেট সহ অন্যান্য কাগজপত্র সগ্রহ ও সংশোধনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা। 

এছাড়া কম্পিউটারে দক্ষ লোক না থাকায় তাদের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে। 

পৌর কার্যালয়ের সুপারভাইজার (টিকাদানকারী) বিপ্রেশ মৈত্রকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ভুলের দায় স্বীকার না করে বলেন, নেটওয়ার্ক সমস্যায় কম্পিউটার ভুল করছে।

পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) সচিব সতীশ গোস্বামী বলেন জন্মনিবন্ধন করতে অনেক কিছু প্রয়োজন হয়, সরকার যা চায় তা দিতে হয়, প্রসেস করতে সময় লাগে, এছাড়া এগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। ফলে আমাদের কিছুই করার থাকেনা। 

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন বলেন নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে এক্টু সময় লাগতে পারে? যদি হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন থাকে, এটা আসতে পারে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।

Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents