শিরোনাম :

দোহাজারী কাঁচা বাজারে ব্যস্ততা আর কদর দু'টোই বেড়েছে মাছ কাটায় নিযুক্ত শ্রমজীবিদের

 



নুরুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:



আগেকার দিনে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোঁরার মালিকরা বাজার থেকে মাছ কাটিয়ে নিয়ে যেতেন। মানুষ বাজার থেকে আস্ত মাছ কিনে নিয়ে যেত বাড়িতে। কিন্তু দিন বদলেছে, মানুষের জীবনে এসেছে ব্যস্ততা। মাছ কাটা এখন অধিকাংশ গৃহকর্ত্রীর কাছে রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়। বর্জ্য ফেলার সমস্যা, বঁটির সমস্যা, কাটতে না জানা, পরিষ্কার করার ঝামেলা আর সময়সাপেক্ষ হওয়ায় অনেক গৃহকর্ত্রী এখন বড় মাছ কুটতে চায় না। শিং-মাগুড়, কই কিংবা কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ নিলে অনেক সময় গৃহকর্তার সাথে গৃহকর্ত্রীর বচসা হয়। 

গৃহকর্ত্রীদের কষ্ট লাঘব করতে দোহাজারী মাছ বাজারে ক্রেতাদের কেনা মাছ অর্থের বিনিময়ে কেটে দেন একদল মানুষ৷ সময় বাঁচাতে ও গৃহকর্ত্রীর পরিশ্রম কমাতে অনেক ক্রেতা তাঁদের সহায়তা নিয়ে থাকেন৷ আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে কেজিপ্রতি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেন তাঁরা। ১০-১২ জন দুই কাতারে বসে ক্রেতার মাছ পরিস্কার করে পিস পিস করে দিচ্ছেন মাছ কাটায় নিযুক্ত পেশাজীবিরা। কেবলমাত্র একটি ধারালো দা ও একটি গাছের ছেদি হলো তাঁদের পুঁজি।

বাজার থেকে আস্ত মাছ কেনার পর কেটে সাইজ করে বাড়িতে নিয়ে গেলে ঘরের মানুষের কাছে বাড়তি কদর থাকে। তাই, শত ব্যস্ততার মাঝেও নিশ্চিন্তে যেতে পারেন মাছ বাজারে। কিনতে পারেন বড় কিংবা ছোট মাছ। যাই কিনুন না কেন, মাছ কাটাতে আপনার পাশে আছে মাছ কাটায় নিযুক্ত পেশাজীবিরা।

Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents