অমৃত জ্যোতি (মধ্যনগর.সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদরের বাসিন্দা "প্রীতি সাহা"বাংলাদেশ টেলিভিশনে"রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রীতি সাহা মধ্যনগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রয়াত হেমচন্দ্র রায়ের কনিষ্ঠ পুত্র রাজীব কুমার রায়'র সহধর্মিণী।তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ বেতার,ঢাকা কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছিলেন।এবং ২০০৯ সাল হতে ঢাকা ওয়াইডাব্লিউসিএ সঙ্গীত বিভাগে "রবীন্দ্র সঙ্গীত" শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত।
তাঁর পৈত্রিক নিবাস ময়মনসিংহে এবং প্রীতি সাহার প্রথম সঙ্গীতে হাতেখড়ি বড়ভাই তাপস সাহার মাধ্যমে।সঙ্গীতগুরু অধ্যক্ষ সুমিতা নাহার তত্ত্বাবধানে প্রথম হতে আজ পর্যন্ত সঙ্গীত অনুশীলন করছেন। উদীচী ময়মনসিংহ পরিচালিত "আলোকময় নাহা সঙ্গীত বিদ্যায়তন" থেকে কন্ঠ সংগীতে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১ম বিভাগের ডিপ্লোমা সনদ অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ জেলা কিশোর শাখায় প্রথম স্থান,১৯৯৪ সালের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতার ময়মনসিংহ জেলা পর্যায়ে সাধারণ বিভাগে প্রথম স্থান ও ১৯৯৫ সালের জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে সাধারণ বিভাগে দ্বিতীয় মান অর্জন করেন।পাশাপাশি বিভিন্ন সময় সঙ্গীতের উপর তালিম গ্রহণ করেন ওস্তাদ গোপাল দত্ত, ওস্তাদ সাদী মোহাম্মদ, ওস্তাদ মনসুরা বেগম এর কাছ থেকে।
চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ টেলিভিশনের পক্ষ থেকে-"অভিনন্দন!!! আপনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীতের অডিশনে চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।"এমন বার্তার মাধ্যমে সদ্য তালিকাভূক্ত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী প্রীতি সাহা'কে নিশ্চিত করেন কতৃপক্ষ।সংবাদ মাধ্যমকে অবগত করেন প্রীতি সাহার স্বামী ধর্মপাশা-মধ্যনগর উপজেলা উন্নয়ন ফোরাম এর সাংগঠনিক সম্পাদক,ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির দপ্তর সম্পাদক রাজীব কুমার রায়।সেই সাথে সহধর্মিণীর সঙ্গীত জীবনে সফলতার জন্য এলাকা তথা সঙ্গীতমনা সকলের কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন তিনি।
Commentbox